১১/০২/২০ : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গৃহবধূ রহিমা আক্তার (৪০) হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার দুপুরে উপজেলার মাসকা বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- কেন্দুয়ার পানগাঁও গ্রামের মো. আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন, একই গ্রামের হবি মিয়া, জোহুরা আক্তার, সাতাশি গ্রামের মো. রানা মিয়া, স্বপন মিয়া, মো. শহীদ মিয়া, জয়কা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, মাসকা বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পানগাঁও গ্রামের রিটন মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই নাজমুল হকের বাড়ির সামনের ফসলি জমির আইল নিয়ে বিরোধ চলছিলো। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর, সন্ধ্যার দিকে রিটন নিজের পূর্বপরিকল্পনা মতে তার অসুস্থ স্ত্রী রহিমাকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাদি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে রহিমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সংসার জীবনে রিটন ও রহিমার দ্বন্দ্ব কলহ চলে আসছিলো বলেও দাবি বক্তাদের। রহিমাকে হত্যার পর রিটন প্রতিপক্ষসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নাম উল্লেখ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মূলত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল এবং তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে রিটন মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি করছে। পরিস্থিতিতে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত সত্য উন্মোচনের পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনাসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি একই দাবিতে ৭৮ জনের নাম-স্বাক্ষরসহ এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। তবে এদিকে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মামলার বাদী রিটন মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নেত্রকোনা প্রতিনিধি